বাংলা স্বরবর্ণমালার একাদশ বর্ণ। উচ্চারণস্থান কণ্ঠ ও তালু। মুগ্ধবোধমতে শুদ্ধ তালু। ‘এ’ দীর্ঘস্বর ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে যুক্ত হলে ‘ে’ এইরূপ আকার হয়। যথা— ক + এ = কে। এটি অ + ই এই দুই স্বরযোগে উচ্চারিত হয় বলে এটিকে সন্ধ্যাক্ষর বলে। বাংলায় এ-র হ্রস্ব, দীর্ঘ ও প্লুত স্বর আছে। যথা— এক (হ্রস্ব] (২) একুশ [দীর্ঘ] (৩) মেঘ; এরে (শিশুকে ধমক দিবার কালে) [প্লুত]; প্রাচীন বাংলা পদান্তে একারের হ্রস্বস্বর আধুনিক চলিত, বাংলায় দীর্ঘস্বরে ও সাধু ভাষায় [হিন্দির অনুকরণে] ‘ইয়া’তে পরিণত। যথা— কর্যা(য়া) = করে = করিয়া।