বাংলা একাডেমি প্রমিত বানানের নিয়ম

১. তৎসম শব্দ

  1. ১.১

    এই নিয়মে বর্ণিত ব্যতিক্রম ছাড়া তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের নির্দিষ্ট বানান অপরিবর্তিত থাকবে।

  2. ১.২

    যেসব তৎসম শব্দে ই ঈ বা উ ঊ উভয় শুদ্ধ কেবল সেসব শব্দে ই বা উ এবং তার কারচিহ্ন ি ু হবে। যেমন: কিংবদন্তি, খঞ্জনি, চিৎকার, চুল্লি, তরণি, ধমনি, ধরণি, নাড়ি, পঞ্জি, পদবি, পল্লি, ভঙ্গি, মঞ্জরি, মসি, যুবতি, রচনাবলি, লহরি, শ্রেণি, সরণি, সূচিপত্র; উর্ণা, উষা।

  3. ১.৩

    রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন: অর্জ্জন, উর্দ্ধ্ব, কর্ম্ম, কার্ত্তিক, কার্য্য, বার্দ্ধক্য, মূর্চ্ছা, সূর্য্য, ইত্যাদির পরিবর্তে যথাক্রমে অর্জন, উর্ধ্ব, কর্ম, কার্তিক, কার্য, বার্ধক্য, মূর্ছা, সূর্য ইত্যাদি হবে।

  4. ১.৪

    সন্ধির ক্ষেত্রে ক খ গ ঘ পরে থাকলে পূর্ব পদের অন্তস্থিত ম্ স্থানে অনুস্বার (ং) হবে। যেমন: অহম্ + কার = অহংকার।

    এভাবে ভয়ংকর, শুভংকর, হৃদয়ংগম, সংঘটন।

    সন্ধিবদ্ধ না হলে ঙ স্থানে ং হবে না। যেমন: অঙ্ক, অঙ্গ, আকাঙ্ক্ষা, আতঙ্ক, কঙ্কাল, গঙ্গা, বঙ্কিম, বঙ্গ, লঙ্ঘন, শঙ্কা, শৃঙ্খলা, সঙ্গে, সঙ্গী।

  5. ১.৫

    সংস্কৃত ইন-প্রত্যায়ান্ত শব্দের দীর্ঘ ঈ-কারান্ত রূপ সমাসবদ্ধ হলে সংস্কৃত ব্যাকরণের নিয়ম-অনুযায়ী সেগুলিতে হ্রস্ব ই-কার হয়। যেমন: গুণী → গুণিজন, প্রাণী → প্রাণিবিদ্যা, মন্ত্রী → মন্ত্রিপরিষদ।

    তবে এগুলির সমাসবদ্ধ রূপে ঈ-কারের ব্যবহারও চলতে পারে। যেমন: গুণী → গুণীজন, প্রাণী → প্রাণীবিদ্যা, মন্ত্রী → মন্ত্রীপরিষদ।

    ইন্-প্রত্যয়ান্ত শব্দের সঙ্গে -ত্ব ও -তা প্রত্যয় যুক্ত হলে ই-কার হবে। যেমন: কৃতী → কৃতিত্ব, দায়ী → দায়িত্ব, প্রতিযোগী → প্রতিযোগিতা, মন্ত্রী → মন্ত্রিত্ব, সহযোগী → সহযোগিতা।

  6. ১.৬

    বিসর্গ (ঃ) — শব্দের শেষে বিসর্গ (ঃ) থাকবে না। যেমন: ইতস্তত, কার্যত, ক্রমশ, পুনঃপুন, প্রথমত, প্রধানত, প্রয়াত, প্রায়শ, ফলত, বস্তুত, মূলত।

    এছাড়া নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে শব্দমধ্যস্থ বিসর্গ-বর্জিত রূপ গৃহীত হবে। যেমন: দুস্থ, নিস্তব্ধ, নিস্পৃহ, নিশ্বাস।

২. অতৎসম শব্দ

  1. ২.১

    ই, ঈ, উ, ঊ — সকল অতৎসম অর্থাৎ তদ্ভব, দেশি, বিদেশি, মিশ্র শব্দে কেবল ই এবং উ এবং এদের কারচিহ্ন ি ু ব্যবহৃত হবে। যেমন: আরবি, আসামি, ইংরেজি, ইমান, ইরানি, উনিশ, ওকালতি, কাহিনি, কুমির, কেরামতি, খুশি, খেয়ালি, গাড়ি, গোয়ালিনি, চাচি, জমিদারি, জাপানি, জার্মানি, টুপি, তরকারি, দাড়ি, দাদি, দাবি, দিঘি, দিদি, নানি, নিচু, পশমি, পাখি, পাগলামি, পাগলি, পিসি, ফরাসি, ফরিয়াদি, ফারসি, ফিরিঙ্গি, বর্ণালি, বাঁশি, বাঙালি, বাড়ি, বিবি, বুড়ি, বেআইনি, বেশি, বোমাবাজি, ভারি (অত্যন্ত অর্থে), মামি, মালি, মাসি, মাস্টারি, রানি, রুপালি, রেশমি, শাড়ি, সরকারি, সিন্ধি, সোনালি, হাতি, হিজরি, হিন্দি, হেঁয়ালি। চুন, পুজো, পুব, মুলা, মুলো।

    পদাশ্রিত নির্দেশক টি-তে ই-কার হবে। যেমন: ছেলেটি, বইটি, লোকটি।

    সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া-বিশেষণ ও যোজক পদরূপে কী শব্দটি ঈ-কার দিয়ে লেখা হবে। যেমন এটা কী বই? কী আনন্দ! কী আর বলব? কী করছ? কী করে যাব? কী খেলে? কী জানি? কী দুরাশা! তোমার কী! কী বুদ্ধি নিয়ে এসেছিলে! কী পড়ো? কী যে করি! কী বাংলা কী ইংরেজি উভয় ভাষায় তিনি পারদর্শী।

    কীভাবে, কীরকম, কীরূপে প্রভৃতি শব্দেও ঈ-কার হবে।

    যেসব প্রশ্নবাচক বাক্যের উত্তর হ্যাঁ বা না হবে, সেইসব বাক্যে ব্যবহৃত ‘কি’ হ্রস্ব ই-কার দিয়ে লেখা হবে। যেমন: তুমি কি যাবে? সে কি এসেছিল?

  2. ২.২

    এ, অ্যা— বাংলা এ বর্ণ বা ে-কার দিয়ে এ এবং অ্যা এই উভয় ধ্বনি নির্দেশিত হয়। যেমন: কেন, কেনো (ক্রয় করো); খেলা, খেলি; গেল, গেলে, গেছে; দেখা, দেখি; জেনো, যেন।

    তবে কিছু তদ্ভব এবং বিশেষভাবে দেশি শব্দ রয়েছে যেগুলির -কার যুক্ত রূপ বহুল পরিচিত। যেমন: ব্যাঙ, ল্যাঠা। এসব শব্দে  অপরিবর্তিত থাকবে।

    বিদেশি শব্দে ক্ষেত্র-অনুযায়ী অ্যা বা -কার ব্যবহৃত হবে। যেমন: অ্যাকাউন্ট, অ্যান্ড (and), অ্যাসিড, ক্যাসেট, ব্যাংক, ভ্যাট, ম্যানেজার, হ্যাট।

  3. ২.৩

    ও — বাংলা অ-ধ্বনির উচ্চারণ বহু ক্ষেত্রে ও-র মতো হয়। শব্দশেষের এসব অ-ধ্বনি ও-কার দিয়ে লেখা যেতে পারে। যেমন: কালো, খাটো, ছোটো, ভালো; এগারো, বারো, তেরো, পনেরো, ষোলো, সতোরো, আঠারো; করানো, খাওয়ানো, চড়ানো, চরানো, চালানো, দেখানো, নামানো, পাঠানো, বসানো, শেখানো, শোনানো, হাসানো; কুড়ানো, নিকানো, বাঁকানো, বাঁধানো, ঘোরালো, জোরালো, ধারালো, প্যাঁচানো; করো, চড়ো; জেনো, ধরো, পড়ো, বলো, বসো, শেখো; করাতো, কেনো, দেবো, হতো, হবো, হলো; কোনো, মতো।

    ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞায় শব্দের আদিতে ও-কার লেখা যেতে পারে। যেমন: কোরো, বোলো, বোসো।

  4. ২.৪

    ং, ঙ — শব্দের শেষে প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে সাধারণভাবে অনুস্বার (ং) ব্যবহৃত হবে। যেমন: গাং, ঢং, পালং, রং, রাং, সং। তবে অনুস্বারের সঙ্গে স্বর যুক্ত হলে ঙ হবে। যেমন: বাঙালি, ভাঙা, রঙিন, রঙের। বাংলা ও বাংলাদেশ শব্দে অনুস্বার থাকবে।

  5. ২.৫

    ক্ষ, খ— অতৎসম শব্দ খিদে, খুদ, খুদে , খুর (গবাদি পশুর পায়ের শেষপ্রান্ত), খেত, খ্যাপা ইত্যাদি লেখা হবে।

  6. ২.৬

    জ, য — বাংলায় প্রচলিত বিদেশি শব্দ সাধারণভাবে বাংলা ভাষার ধ্বনিপদ্ধতি-অনুযায়ী লিখতে হবে। যেমন: কাগজ, জাদু, জাহাজ, জুলুম, জেব্রা, বাজার, হাজার।

    ইসলাম ধর্ম-সংক্রান্ত কয়েকটি শব্দে বিকল্পে ‘য’ লেখা যেতে পারে। যেমন: আযান, ওযু, কাযা, নামায, মুয়ায্‌যিন, যোহর, রমযান, হযরত।

  7. ২.৭

    অতৎসম শব্দের বানানে ণ ব্যবহার করা হবে না। যেমন: অঘ্রান, ইরান, কান, কোরান, গভর্নর, গুণতি, গোনা, ঝরনা, ধরন, পরান, রানি, সোনা, হর্ন।

    তৎসম শব্দে ট ঠ ড ঢ-য়ের পূর্বে যুক্ত নাসিক্যবর্ণ ণ হয়, যেমন: কণ্টক, প্রচণ্ড, লুণ্ঠন। কিন্তু অতৎসম শব্দের ক্ষেত্রে ট ঠ ড ঢ-য়ের আগে কেবল ন হবে। যেমন: গুন্ডা, ঝান্ডা, ঠান্ডা, ডান্ডা, লন্ঠন।

  8. ২.৮

    বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রে ‘ষ’ ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। যেমন: কিশমিশ, নাশতা, পোশাক, বেহেশ্‌ত, শখ, শয়তান, শরবত, শরম, শহর, শামিয়ানা, শার্ট, শৌখিন; আপস, জিনিস, মসলা, সন, সাদা, সাল (বৎসর), স্মার্ট, হিসাব; স্টল, স্টাইল, স্টিমার, স্ট্রিট, স্টুডিয়ো, স্টেশন, স্টোর; ইসলাম, তসলিম, মুসলমান, মুসলিম, সালাত, সালাম; এশা, শাওয়াল (হিজরি মাস), শাবান (হিজরি মাস)।

    ইংরেজি ও ইংরেজির মাধ্যমে আগত বিদেশি S ধ্বনির জন্য স এবং -sh, -sion, -ssion, -tion প্রভৃতি বর্ণগুচ্ছ বা ধ্বনির জন্য শ ব্যবহৃত হবে। যেমন: পাসপোর্ট, বাস; ক্যাশ; টেলিভিশন; মিশন, সেশন; রেশন, স্টেশন।

    যেখানে বাংলায় বিদেশি শব্দের বানান অপরিবর্তিত হয়ে স ছ-এর রূপ লাভ করেছে সেখানে ছ-এর ব্যবহার থাকবে। যেমন: তছনছ, পছন্দ, মিছরি, মিছিল।

  9. ২.৯

    বিদেশি শব্দ ও যুক্তবর্ণ— বাংলায় বিদেশি শব্দের আদিতে বর্ণবিশ্লেষ সম্ভব নয়। এগুলো যুক্তবর্ণ দিয়ে লিখেত হবে। যেমন: স্টেশন, স্ট্রিট, স্প্রিং।

    তবে অন্য ক্ষেতে বিশ্লেষ করা যায়। যেমন: মার্কস, শেকসপিয়র, ইসরাফিল।

  10. ২.১০

    হস-চিহ্ন— হস-চিহ্ন যথাসম্ভব বর্জন করা হবে। যেমন: কলকল, করলেন, কাত, চট, চেক, জজ, ঝরঝর, টক, টন, টাক, ডিশ, তছনছ, ফটফট, বললেন, শখ, হুক।

    তবে যদি অর্থবিভ্রান্তি বা ভুল উচ্চারণের আশঙ্কা থাকে তাহরে হস-চিহ্ন ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন : উহ্, বাহ্, যাহ্।

  11. ২.১১

    উর্ধ্ব-কমা— উর্ধ্ব-কমা যথাসম্ভব বর্জন করা হবে। যেমন: বলে (বলিয়া), হয়ে, দুজন, চাল (চাউল), আল (আইল)।

৩. বিবিধ

  1. ৩.১

    সমাসবদ্ধ শব্দগুলি যথাসম্ভব একসঙ্গে লিখতে হবে। যেমন: অদৃষ্টপূর্ব, অনাস্বাদিতপূর্ব, নেশাগ্রস্ত, পিতাপুত্র, পূর্বপরিচিত, বিষাদমণ্ডিত, মঙ্গলবার, রবিবার, লক্ষ্যভ্রষ্ট, সংবাদপত্র, সংযতবাক, সমস্যাপূর্ণ, স্বভাবগতভাবে।

    বিশেষ প্রয়োজনে সমাসবদ্ধ শব্দটিকে এক বা একাধিক হাইফেন (-) দিয়ে যুক্ত করা যায়। যেমন: কিছু-না-কিছু, জল-স্থল-আকাশ, বাপ-বেটা, বেটা-বেটি, মা-ছেলে, মা-মেয়ে।

  2. ৩.২

    বিশেষণ পদ সাধারণভাবে পরবর্তী পদের সঙ্গে যুক্ত হবে না। যেমন: ভালো দিন, লাল গোলাপ, সুগন্ধ ফুল, সুনীল আকাশ, সুন্দরী মেয়ে, স্তব্ধ মধ্যাহ্ন।

  3. ৩.৩

    না-বাচক না এবং নি-এর প্রথমটি (না) স্বতন্ত্র পদ হিসেবে এবং দ্বিতীয়টি (নি) সমাসবদ্ধ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। যেমন: করি না, কিন্তু করিনি।

    এছাড়া শব্দের পূর্বে না-বাচক উপসর্গ ‘না’ উত্তরপদের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। যেমন: নাবালক, নারাজ, নাহক।

    অর্থ পরিস্ফুট করার জন্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুভূত হলে না-এর পর হাইফেন ব্যবহার করা যায়। যেমন: না-গোনা পাখি, না-বলা বাণী, না-শোনা কথা।

  4. ৩.৪

    অধিকন্তু অর্থে ব্যবহৃত ‘ও’ প্রত্যয় শব্দের সঙ্গে কার-চিহ্ন রূপে যুক্ত না হয়ে পূর্ণরূপে শব্দের পরে যুক্ত হবে। যেমন: আজও, আমারও, কালও, তোমারও।

  5. ৩.৫

    নিশ্চয়ার্থক ‘ই’ শব্দের সঙ্গে কার-চিহ্ন রূপে যুক্ত না হয়ে পূর্ণ রূপে শব্দের পরে যুক্ত হবে। যেমন: আজই, এখনই।

৪. ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার নাম

  1. ৪.১

    ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার নাম এই নিয়মের আওতাভুক্ত নয়।

৫. ক্রিয়াপদের রূপ

  1. ৫.১

    উঠ্ ধাতু — (আমি) উঠতাম, উঠেছিলাম, উঠছিলাম, উঠলাম, উঠেছি, উঠছি, উঠি, উঠব; ওঠাতাম, উঠিয়েছিলাম, ওঠাচ্ছিলাম, ওঠালাম, উঠিয়েছি, ওঠাচ্ছি, ওঠাই, ওঠাব।

    (তুমি) উঠতে, উঠেছিলে, উঠছিলে, উঠলে, উঠেছ, উঠছ, ওঠো, উঠবে, উঠো; ওঠাতে, উঠিয়েছিলে, ওঠাচ্ছিলে, ওঠালে, উঠিয়েছ, ওঠাচ্ছ, ওঠাও, ওঠাবে, উঠিয়ো।

    (তুই) উঠতি(স), উঠেছিলি, উঠছিলি, উঠলি, উঠেছিস, উঠছিস, উঠিস, উঠবি, ওঠ; ওঠাতি, উঠিয়েছিলি, ওঠাচ্ছিলি, ওঠালি, উঠিয়েছিস, ওঠাচ্ছিস, ওঠাস, ওঠাবি, ওঠা।

    (সে) উঠত, উঠেছিল, উঠছিল, উঠল, উঠেছে, উঠছে, ওঠে, উঠবে, উঠুক; ওঠাত, উঠিয়েছিল, ওঠাচ্ছিল, ওঠাল, উঠিয়েছে, ওঠাচ্ছে, ওঠায়, ওঠাবে, ওঠাক।

    (আপনি/তিনি) উঠতেন, উঠেছিলেন, উঠছিলেন, উঠলেন, উঠেছেন, উঠছেন, ওঠেন, উঠবেন, উঠুন; ওঠাতেন, উঠিয়েছিলেন, ওঠাচ্ছিলেন, ওঠালেন, উঠিয়েছেন, ওঠাচ্ছেন, ওঠাবেন।

    ওঠান; উঠে, উঠিয়ে।

  2. ৫.২

    কর ধাতু — করতাম, করেছিলাম, করছিলাম, করলাম, করেছি, করছি, করি, করব; করাতাম, করিয়েছিলাম, করাচ্ছিলাম, করালাম, করিয়েছি, করাচ্ছি, করাই, করাব, করতে, করেছিলে, করছিলে, করলে, করেছ, করছ, করো, করবে, কোরো; করাতে, করিয়েছিলে, করাচ্ছিলে, করালে, করিয়েছ, করাচ্ছ, করাও, করাবে, কোরিয়ো।

    করতি(স), করেছিলি, করছিলি, করলি, করেছিস, করছিস, করিস, করবি, কর; করাতি, করিয়েছিলি, করাচ্ছিলি, করালি, করিয়েছিস, করাচ্ছিস, করাস, করাবি, করা।

    করত, করেছিল, করছিল, করল, করেছে, করছে, করে, করবে, করুক; করাতো, করিয়েছিল, করাচ্ছিল, করালো, করিয়েছে, করাচ্ছে, করায়, করাবে, করাক।

    করতেন, করেছিলেন, করছিলেন, করলেন, করেছেন, করছেন, করেন, করবেন, করুন; করাতেন, করিয়েছিলেন, করাচ্ছিলেন, করালেন, করিয়েছেন, করাচ্ছেন, করাবেন, করান

    করে [ক’রে], করিয়ে।

  3. ৫.৩

    কাট্ ধাতু — কাটতাম, কেটেছিলাম, কাটছিলাম, কাটলাম, কেটেছি, কাটছি, কাটি, কাটব; কাটাতাম, কাটিয়েছিলাম, কাটাচ্ছিলাম, কাটালাম, কাটিয়েছি, কাটাচ্ছি, কাটাই, কাটাব

    কাটাতে, কেটেছিলে, কাটছিলে, কাটলে, কেটেছ, কাটছ, কাটো, কাটবে, কেটো; কাটাতে, কাটিয়েছিলে, কাটাচ্ছিলে, কাটালে, কাটিয়েছ, কাটাচ্ছ, কাটাও, কাটাবে, কাটিয়ো

    কাটতি(স), কেটেছিলি, কাটছিলি, কাটলি, কেটেছিস, কাটছিস, কাটিস, কাট, কাটবি; কাটাতি, কাটিয়েছিলি, কাটাচ্ছিলি, কাটালি, কাটিয়েছিস, কাটাচ্ছিস, কাটাস, কাটা, কাটাবি

    কাটত, কেটেছিল, কাটছিল, কাটল, কেটেছে, কাটছে, কাটে, কাটুক, কাটবে; কাটাত কাটিয়েছিল, কাটাচ্ছিল, কাটাল, কাটিয়েছে, কাটাচ্ছে, কাটায়, কাটাক, কাটাবে

    কাটতেন, কেটেছিলেন, কাটছিলেন, কাটলেন, কেটেছেন, কাটছেন, কাটেন, কার্টুন, কাটবেন; কাটাতেন, কাটিয়েছিলেন, কাটাচ্ছিলেন, কাটালেন, কাটিয়েছেন, কাটাচ্ছেন, কাটান, কাটাবেন

    কেটে কাটিয়ে

  4. ৫.৪

    খা ধাতু — খেতাম, খেয়েছিলাম, খাচ্ছিলাম, খেলাম, খেয়েছি, খাচ্ছি, খাই, খাব; খাওয়াতাম, খাইয়েছিলাম, খাওয়াচ্ছিলাম, খাওয়ালাম, খাইয়েছি, খাওয়াচ্ছি, খাওয়াই, খাওয়াব

    খেতে, খেয়েছিলে, খাচ্ছিলে, খেলে, খেয়েছ, খাচ্ছ, খাও, খেয়ো, খাবে; খাওয়াতে, খাইয়েছিলে, খাওয়াচ্ছিলে, খাওয়ালে, খাইয়েছ, খাওয়াচ্ছ, খাওয়াও, খাইয়ো, খাওয়াবে

    খেতি(স), খেয়েছিলি, খাচ্ছিলি, খেলি, খেয়েছিস, খাচ্ছিস, খাস, খাবি, খা; খাওয়াতি, খাইয়েছিলি, খাওয়াচ্ছিলি, খাওয়ালি, খাইয়েছিস, খাওয়াচ্ছিস, খাওয়াস, খাওয়াবি, খাওয়া

    খেতো, খেয়েছিল, খাচ্ছিল, খেলো, খেয়েছে, খাচ্ছে, খায়, খাবে, থাক; খাওয়াত, খাইয়েছিল, খাওয়াচ্ছিল, খাওয়াল, খাইয়েছে, খাওয়াচ্ছে, খাওয়ায়, খাওয়াবে, খাওয়াক

    খেতেন, খেয়েছিলেন, খাচ্ছিলেন, খেলেন, খেয়েছেন, খাচ্ছেন, খান, খাবেন; খাওয়াতেন, খাইয়েছিলেন, খাওয়াচ্ছিলেন, খাওয়ালেন, খাইয়েছেন, খাওয়াচ্ছেন, খাওয়ান, খাওয়াবেন

    খেয়ে, খাইয়ে

  5. ৫.৫

    দি ধাতু — দিতাম, দিয়েছিলাম, দিচ্ছিলাম, দিলাম, দিয়েছি, দিচ্ছি, দিই, দেবো; দেওয়াতাম, দিইয়েছিলাম, দেওয়াচ্ছিলাম, দেওয়ালাম, দিইয়েছি, দেওয়াচ্ছি, দেওয়াই, দেওয়াব

    দিতে, দিয়েছিলে, দিচ্ছিলে, দিলে, দিয়েছ, দিচ্ছ, দাও, দিয়ো, দেবে; দেওয়াতে, দিইয়েছিলে, দেওয়াচ্ছিলে, দেওয়ালে, দিইয়েছ, দেওয়াচ্ছ, দেওয়াও, দিইয়ো, দেওয়াবে

    দিতি(স), দিয়েছিলি, দিচ্ছিলি, দিলি, দিয়েছিস, দিচ্ছিস, দিস, দিবি, দে; দেওয়াতি, দিইয়েছিলি, দেওয়াচ্ছিলি, দেওয়ালি, দিইয়েছিস, দেওয়াচ্ছিস, দেওয়াস, দেওয়াবি, দেওয়া

    দিত, দিয়েছিল, দিচ্ছিল, দিলো, দিয়েছে, দিচ্ছে, দেয়, দেবে, দিক; দেওয়াত, দিইয়েছিল, দেওয়াচ্ছিল, দেওয়ালো, দিইয়েছে, দেওয়াচ্ছে, দেওয়ায়, দেওয়াবে, দেওয়াক

    দিতেন, দিয়েছিলেন, দিচ্ছিলেন, দিলেন, দিয়েছেন, দিচ্ছেন, দেন, দেবেন, দিন; দেওয়াতেন, দিইয়েছিলেন, দেওয়াচ্ছিলেন, দেওয়ালেন, দিইয়েছেন, দেওয়াচ্ছেন, দেওয়াবেন, দেওয়ান

    দিয়ে

  6. ৫.৬

    দৌড়া ধাতু — দৌড়াতাম, দৌড়েছিলাম, দৌড়াচ্ছিলাম, দৌড়ালাম, দৌড়েছি, দৌড়াচ্ছি, দৌড়াই, দৌড়াব

    দৌড়াতে, দৌড়েছিলে, দৌড়াচ্ছিলে, দৌড়ালে, দৌড়েছ, দৌড়াচ্ছ, দৌড়াও, দৌড়াবে

    দৌড়াতি(স), দৌড়েছিলি, দৌড়াচ্ছিলি, দৌড়ালি, দৌড়েছিস, দৌড়াচ্ছিস, দৌড়াস, দৌড়াবি, দৌড়া

    দৌড়াত, দৌড়েছিল, দৌড়াচ্ছিল, দৌড়াল, দৌড়েছে, দৌড়াচ্ছে, দৌড়ায়, দৌড়াবে, দৌড়াক

    দৌড়াতেন, দৌড়েছিলেন, দৌড়াচ্ছিলেন, দৌড়ালেন, দৌড়েছেন, দৌড়াচ্ছেন, দৌড়ান, দৌড়াবেন

    দৌড়ে

  7. ৫.৭

    যা ধাতু — যেতাম, গিয়েছিলাম, যাচ্ছিলাম, গেলাম, গিয়েছি, যাচ্ছি, যাই, যাব; যাওয়াতাম, যাইয়েছিলাম, যাওয়াচ্ছিলাম, যাওয়ালাম, যাইয়েছি, যাওয়াচ্ছি, যাওয়াই, যাওয়াব

    যেতে, গিয়েছিলে, যাচ্ছিলে, গেলে, গিয়েছ, যাচ্ছ, যাও, যেয়ো, যাবে; যাওয়াতে, যাওয়াচ্ছিলে, যাওয়ালে, যাওয়াচ্ছ, যাওয়াও, যাইয়ো, যাওয়াবে

    যেতি(স), গিয়েছিলি, যাচ্ছিলি, গেলি, গিয়েছিস, যাচ্ছিস, যাস, যাবি, যা; যাওয়াতি, যাইয়েছিলি, যাওয়াচ্ছিলি, যাওয়ালি, যাইয়েছিস, যাওয়াচ্ছিস, যাওয়াস, যাওয়াবি, যাওয়া

    যেত, যাচ্ছিল, গেল, গিয়েছে, যাচ্ছে, যায়, যাবে, যাক; যাওয়াত, যাওয়াচ্ছিল, যাওয়াল, যাইয়েছে, যাওয়াচ্ছে, যাওয়ায়, যাওয়াবে, যাওয়াক

    যেতেন, গিয়েছিলেন, যাচ্ছিলেন; গেলেন, গিয়েছেন, যাচ্ছেন, যান, যাবেন; যাওয়াতেন, যাইয়েছিলেন, যাওয়াচ্ছিলেন, যাওয়ালেন, যাইয়েছেন, যাওয়াচ্ছেন, যাওয়ান, যাওয়াবেন

    গিয়ে

  8. ৫.৮

    শিখ ধাতু — শিখতাম, শিখেছিলাম, শিখছিলাম, শিখলাম, শিখেছি, শিখছি, শিখি, শিখব; শেখাতাম, শিখিয়েছিলাম, শেখাচ্ছিলাম, শেখালাম, শিখিয়েছি, শেখাচ্ছি, শেখাই, শেখাব

    শিখতে, শিখেছিলে, শিখছিলে, শিখলে, শিখেছ, শিখছ, শেখো, শিখো, শিখবে; শেখাতে, শিখিয়েছিলে, শেখাচ্ছিলে, শেখালৈ, শিখিয়েছ, শেখাচ্ছ, শেখাও, শিখিয়ো, শেখাবে

    শিখতি(স), শিখেছিলি, শিখছিলি, শিখলি, শিখেছিস, শিখছিস, শিখিস, শিখবি, শেখ; শেখাতি, শিখিয়েছিলি, শেখাচ্ছিলি, শেখালি, শিখিয়েছিস, শেখাচ্ছিস, শেখাস, শেখাবি, শেখা

    শিখত, শিখেছিল, শিখছিল, শিখল, শিখেছে, শিখছে, শেখে, শিখবে, শিখুক; শেখাত, শিখিয়েছিল, শেখাচ্ছিল, শেখাল, শিখিয়েছে, শেখাচ্ছে, শেখায়, শেখাবে, শেখাক

    শিখতেন, শিখেছিলেন, শিখছিলেন, শিখলেন, শিখেছেন, শিখছেন, শেখেন, শিখবেন; শেখাতেন, শিখিয়েছিলেন, শেখাচ্ছিলেন, শেখালেন, শিখিয়েছেন, শেখাচ্ছেন, শেখান, শেখাবেন

    শিখে, শিখিয়ে

  9. ৫.৯

    শু ধাতু — শুতাম, শুয়েছিলাম, শুচ্ছিলাম, শুলাম, শুয়েছি, শুচ্ছি, শুই, শোব; শোয়াতাম, শুইয়েছিলাম, শোয়াচ্ছিলাম, শোয়ালাম, শুইয়েছি, শোয়াচ্ছি, শোয়াই, শোয়াব

    শুতে, শুয়েছিলে, শুচ্ছিলে, গুলে, শুয়েছ, শুচ্ছ, শোও, শুয়ো, শোবে; শোয়াতে, শুইয়েছিলে, শোয়াচ্ছিলে, শোয়ালে, শুইয়েছ, শোয়াচ্ছ, শোয়াও, শুইয়ো, শোয়াবে

    শুতি(স), শুয়েছিলি, শুচ্ছিলি, শুলি, শুয়েছিস, শুচ্ছিস, শুস, শুবি, শো; শোয়াতি, শুইয়েছিলি, শোয়াচ্ছিলি, শোয়ালি, শুইয়েছিস, শোয়াচ্ছিস, শোয়াস, শোয়াবি, শোয়া

    শুতো, শুয়েছিল, শুচ্ছিল, শুলো, শুয়েছে, শুচ্ছে, শোয়, শোবে, শুক; শোয়াত, শুইয়েছিল, শোয়াচ্ছিল, শোয়াল, শুইয়েছে, শোয়াচ্ছে, শোয়ায়, শোয়াবে, শোয়াক

    শুতেন, শুয়েছিলেন, শুচ্ছিলেন, শুলেন, শুয়েছেন, শুচ্ছেন, শোন, শোবেন; শোয়াতেন, শুইয়েছিলেন, শোয়াচ্ছিলেন, শোয়ালেন, শুইয়েছেন, শোয়াচ্ছেন, শোয়ান, শোয়াবেন

    শুয়ে, শুইয়ে

  10. ৫.১০

    হ ধাতু — হতাম, হয়েছিলাম, হচ্ছিলাম, হলাম, হয়েছি, হচ্ছি, হই, হব; হওয়াতাম, হইয়েছিলাম, হওয়াচ্ছিলাম, হওয়ালাম, হইয়েছি, হওয়াচ্ছি, হওয়াই, হওয়াব

    হতে, হয়েছিলে, হচ্ছিলে, হলে, হয়েছ, হচ্ছ, হও, হোয়ো, হবে; হওয়াতে, হইয়েছিলে, হওয়াচ্ছিলে, হওয়ালে, হইয়েছ, হওয়াচ্ছ, হওয়াও, হওয়ায়ো, হওয়াবে

    হতি(স), হয়েছিলি, হচ্ছিলি, হলি, হয়েছিস, হচ্ছিস, হোস, হবি, হ; হওয়াতি, হইয়েছিলি, হওয়াচ্ছিলি, হওয়ালি, হইয়েছিস, হওয়াচ্ছিস, হওয়াস, হওয়াবি, হওয়া

    হতো, হয়েছিল, হচ্ছিল, হলো, হয়েছে, হচ্ছে, হয়, হবে, হোক; হওয়াত, হইয়েছিল, হওয়াচ্ছিল, হওয়াল, হইয়েছে, হওয়াচ্ছে, হওয়ায়, হওয়াবে, হওয়াক

    হতেন, হয়েছিলেন, হচ্ছিলেন, হলেন, হয়েছেন, হচ্ছেন, হন, হোন, হবেন; হওয়াতেন, হইয়েছিলেন, হওয়াচ্ছিলেন, হওয়ালেন, হইয়েছেন, হওয়াচ্ছেন, হওয়ান, হওয়াবেন

    হয়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ