আই-আই
, আই-আই / ɑiɑi / āiāi
অব্যয়
- ঘৃণাসহিত লজ্জায়— ‘আই আই এয়োর উঠিল কলরোল। জামাই মাইলো ঠেলা বলি হৈল গণ্ডগোল॥’— ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
- ধিক্কার, ছি-ছি— ‘আইআই হরের মায়ের একি অপমান’—শিবায়ন।
- ধিক্কারে— ‘আই আই হরের মায়ের একি অপমান’—শিবায়ন।
- বক্রোক্তিমূলক পরিহাসে— ‘আই-আই পড়েছে মুখে কাজরের শোভা’— চণ্ডীদাস।
- বিস্ময়ে— ‘আই আই ওই বুড়ো কি এই গৌরীর বর লো!’ —অন্নাদামঙ্গল।
- বিস্ময়ে— ‘রাই বলে, আইআই এ বড় অদ্ভুত’— শ্রীকৃষ্ণমঙ্গল।
- লজ্জা দিবার ছলে নিন্দায়— ‘ফিরিয়া দাঁড়াও তোমার চাঁদমুখ চাই আই আই পড়েছে মুখে কাজরের শোভা।’—চণ্ডীদাস।
- লজ্জায় (স্ত্রীভাষায়)— মা-মা! ওমা-ওমা! ‘আইআই। অভাগী মাগী কি করিল কাজ।’—শ্রীধর্মমঙ্গল। ‘নাকে হাত এয়োগণ বলে আইআই’— ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর; ‘আইআই কি লাজ’—ঐ। ‘লাজের কথা আইআই’— দাশরথি রায়।
- লজ্জার্থে। — ‘দশনে রসনা কাটি গুড়ি গুড়ি যায়। আই আই কিবা লাজ কিবা লাজ হায়॥’—অন্নদামঙ্গল।
- শপথে, দিব্যে— ‘কি বলিস মা, আইআই। দুটি চক্ষের মাথা খাই, দুটি ভাই উঠেছে গিয়া রথে’— দাশরথি রায়।
- সকৌতুক পরিহাসে— ‘আই আই করি এয়ো হেসে পাক যায়’— শিবায়ন।
- সবিস্ময় নিন্দায়— ‘আইআই ওই বুড়া কি এই গৌরীর বর লো’— ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
- [তুলনামূলক মালতো ‘আই আরে’ alas!] খেদে; হায়।
উৎস
আই (বিস্ময়াদিহেতু দ্বিরুক্তি); বাংলায় বিস্ময়ে, ঘৃণায়, লজ্জায়। এই অর্থে দ্বিত্ব ‘আই আই’, আউ আউ; তুলনামূলক ছি স্থলে ছি ছি; ছিয়ে ছিয়ে (ব্রজবুলি); ইংরেজি ফাই ফাই। তুলনামূলক মালতো ‘আইই, আইয়ু O my! আইমা দ্রষ্টব্য। হিন্দি ও ব্রজবুলি ‘মাই’। আই৩ দ্রষ্টব্য।