একদন্ত
[এক-দন্ত, দংষ্ট্রা (দাঁত) যার—বহুব্রীহি] বিশেষ্য, গণেশ [গণেশের একদন্ত নামে পরিচিত হওর কারণ;— ত্রেতা যুগে ভগবান বিষ্ণুর অবতার শ্রী পরশুরাম শিবের উপাসনা করে শিবের কাছ থেকে দিব্য পরশু বা কুঠার পান। এর সাহায্যে এবং তার যুদ্ধে নিপুণতায় তিনি সমগ্র বিশ্বের অত্যাচারী ক্ষত্রিয় রাজাদের ২১ বার পরাজিত করে শাস্তি দেন। সবাইকে হারানোর পর তিনি মহাদেব শিবকে কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য কৈলাশের উদ্দেশ্যে গমন করেন। কিন্তু কৈলাশের দ্বারে ছিলেন শ্রীগণেশ। পিতার আদেশ ছিল যে কেউ যাতে তখন প্রবেশ করতে না পারে। পরশুরাম গণেশের বাধায় ক্রুদ্ধ হয়ে যুদ্ধ শুরু করেন। কিন্তু যুদ্ধের একপর্যায়ে পরশুরাম নাকাল হয়ে পরেন। তখন তিনি শিব প্রদত্ত কুঠার ছুড়ে মারেন গণেশের দিকে। গণেশ পিতাপ্রদত্ত কুঠার চিন্তে পেরে এটিকে সম্মান জানিয়ে এর প্রহার ব্যর্থ না হতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এবং তিঁনি পিতৃসত্য পালনের জন্য কুঠারের প্রহার নিজের একটি দাঁতের উপর নেন। ফলে এটি ভেঙ্গে যায়। প্রতীকী অর্থ— গণেশের ভাঙ্গা দাঁতটি অহঙ্কার ও বুদ্ধির প্রতীক আর সম্পূর্ণ দাঁতটি ভক্তি-শ্রদ্ধার প্রতীক। এটি বুঝাচ্ছে যে, বুদ্ধি বা অহঙ্কারের চেয়ে শ্রদ্ধা বা ভক্তি বড়। (মতান্তরে) ক্রীড়াযুদ্ধে কার্ত্তিক গণেশের একটি দন্ত ভগ্ন করেন। (মতান্তরে) পাশাক্রীড়ার জন্য পার্ষ্ণির প্রয়োজন হওয়ায় রাবণ গণেশের একটি দন্ত উৎপাটন করেন। (মতান্তরে) একদা রাবণ কৈলাসে শিবের সাক্ষাৎকার লাভে গমন করলে মন্দিরদ্বারে গণেশ কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় তাঁর একটি দন্ত উৎপাটন করেন।]।